কেরিয়ার শুরু করার পরে, একজন চার্টার্ড বিজনেস ভ্যালুয়েটর (CBV) হিসাবে নিজের কর্মজীবনের উন্নতি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যখন প্রথম এই পথে আসি, তখন অনেক প্রশ্ন ছিল মনে – কীভাবে নিজেকে আরও যোগ্য করে তুলব, কোন দিকে মনোযোগ দিলে উন্নতি দ্রুত হবে, আর এখনকার দিনে এই ফিল্ডে নতুন কী কী আসছে। আমার মনে হয়, এই অভিজ্ঞতাগুলো সবার সাথে শেয়ার করা উচিত।বর্তমান বাজারে, শুধু ডিগ্রি থাকলেই যথেষ্ট নয়, নিজেকে ক্রমাগত আপডেট রাখাটা খুব জরুরি। তাই, একজন CBV হিসাবে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং ক্যারিয়ারের গ্রোথ নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।আসেন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
কেরিয়ারে একজন CBV (চার্টার্ড বিজনেস ভ্যালুয়েটর) হিসেবে উন্নতি করার কিছু কার্যকরী উপায় নিচে আলোচনা করা হলো:
профессиональное развитие ও প্রশিক্ষণ
একজন CBV হিসেবে আপনার দক্ষতা এবং জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোটা খুবই জরুরি। এই জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন:
1. নতুন সার্টিফিকেশন অর্জন
সময় এর সাথে সাথে নতুন নতুন অনেক বিশেষায়িত সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু হয়। যেমন, ডেটা অ্যানালিটিক্স বা ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিংয়ের ওপর কোর্স করা যেতে পারে। এই ধরনের কোর্সগুলো আপনার বিশেষ জ্ঞানকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমি নিজে রিসেন্টলি একটা ডেটা সায়েন্সের ওপর কোর্স করেছিলাম, যেটা আমার ভ্যালুয়েশন মডেলগুলোকে আরও নিখুঁত করতে সাহায্য করেছে।
2. নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ
বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্স, সেমিনার, আর ওয়ার্কশপে অংশ নিলে আপনি বর্তমান মার্কেট ট্রেন্ডস এবং নতুন টেকনিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমি গত বছর একটা আন্তর্জাতিক ভ্যালুয়েশন কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম, যেখানে বিশ্বের সেরা ভ্যালুয়েশন প্রফেশনালদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। এটা আমার নেটওয়ার্কিং এবং শেখার জন্য দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম ছিল।
3. অনলাইন কোর্স এবং ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ
আজকাল অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে বিজনেস ভ্যালুয়েশন বিষয়ক কোর্স পাওয়া যায়। Coursera, Udemy-র মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে, যেগুলো আপনি নিজের সময় অনুযায়ী করতে পারবেন। আমি মনে করি, এই সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত।
নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করুন এবং সম্পর্ক বজায় রাখুন
কেরিয়ারের উন্নতির জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব অনেক।
1. தொழில்முறை சங்கம் участие
বিভিন্ন প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন, যেমন CFA সোসাইটি অথবা স্থানীয় বিজনেস ফোরামে যোগদান করুন। এই সংগঠনগুলো সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করে থাকে, যেখানে আপনি অন্য প্রফেশনালদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
2. সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন
আপনার কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। তাদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আপনি নতুন কিছু জানতে পারবেন এবং আপনার কাজের মানও উন্নত হবে।
3. লিংকডইন এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকুন
লিংকডইন-এর মতো প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল আপডেট রাখুন এবং নিয়মিত প্রফেশনাল কনটেন্ট শেয়ার করুন। বিভিন্ন গ্রুপে যোগদান করুন এবং আলোচনাতে অংশ নিন। এটা আপনার পরিচিতি বাড়াতে এবং নতুন সুযোগ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
বিশেষ দক্ষতা অর্জন করুন
কিছু বিশেষ দক্ষতা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারে।
1. ডেটা বিশ্লেষণ দক্ষতা
বর্তমানে ডেটা অ্যানালিটিক্সের চাহিদা বাড়ছে। আপনি যদি ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারেন, তাহলে আপনি আরও ভালোভাবে ভ্যালুয়েশন করতে পারবেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এক্সেল, এসপিএসএস (SPSS), বা আর (R) এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে শিখুন।
2. প্রযুক্তি জ্ঞান
নতুন নতুন টেকনোলজি যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) কিভাবে ভ্যালুয়েশন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়, তা শিখুন। এই টেকনোলজিগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজকে আরও দ্রুত এবং নির্ভুল করতে পারবেন।
3. যোগাযোগ দক্ষতা
আপনার ক্লায়েন্ট, সহকর্মী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে স্পষ্টভাবে যোগাযোগ করতে পারাটা খুব জরুরি। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা আপনাকে আপনার আইডিয়াগুলো বুঝিয়ে বলতে এবং অন্যদের সহযোগিতা পেতে সাহায্য করে।
தொழில்முறை வாழ்க்கை баланஸ் করুন
কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
1. সময় ব্যবস্থাপনা
নিজের সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে শিখুন। কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন এবং ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আলাদা সময় রাখুন। এতে আপনি কাজের চাপ কমাতে পারবেন এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখতে পারবেন।
2. স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা খুবই জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সঠিক খাবার খান এবং পর্যাপ্ত ঘুমান। মানসিক চাপ কমাতে যোগা ও মেডিটেশন করতে পারেন।
3. কাজের পরিবেশ ভালো রাখুন
আপনার কর্মক্ষেত্রকে পরিপাটি এবং আরামদায়ক রাখুন। এতে আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে এবং আপনি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
উন্নতির ক্ষেত্র | গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | কার্যকরী উপায় |
---|---|---|
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ | নতুন জ্ঞান অর্জন | কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ |
নেটওয়ার্কিং | সম্পর্ক তৈরি ও বজায় রাখা | প্রফেশনাল এসোসিয়েশনে যোগদান, সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ |
দক্ষতা বৃদ্ধি | বিশেষ দক্ষতা অর্জন | ডেটা বিশ্লেষণ, প্রযুক্তি জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা |
ব্যক্তিগত জীবন | কাজের ভারসাম্য | সময় ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যের যত্ন, কাজের পরিবেশ উন্নয়ন |
постоянное மதிப்பீடு করুন
নিজের কাজের মূল্যায়ন করা এবং উন্নতির জন্য চেষ্টা করাটা খুব জরুরি।
1. নিয়মিত ফিডব্যাক নেয়া
আপনার কলিগ এবং সিনিয়রদের থেকে নিয়মিত ফিডব্যাক নিন। তাদের মতামত আপনাকে আপনার দুর্বলতাগুলো জানতে এবং সেগুলো सुधार করার সুযোগ দেবে।
2. নিজের কাজের পর্যালোচনা করুন
প্রতিটি কাজ শেষ করার পরে, নিজের কাজের পর্যালোচনা করুন। দেখুন কোথায় ভুল ছিল এবং কিভাবে সেগুলো ঠিক করা যেত। इससे আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারবেন।
3. लक्ष्य নির্ধারণ করুন
নিজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন और সেগুলো অর্জনের জন্য কাজ করুন। লক্ষ্যগুলো হতে পারে নতুন দক্ষতা অর্জন করা, পদোন্নতি পাওয়া অথবা নতুন কোনো প্রোজেক্টে কাজ করা।এই বিষয়গুলো অনুসরণ করে, একজন চার্টার্ড বিজনেস ভ্যালুয়েটর (CBV) হিসেবে আপনি আপনার কর্মজীবনে উন্নতি করতে পারেন। মনে রাখবেন, সাফল্য কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই, শিখতে থাকুন और आगे বাড়তে থাকুন।কেরিয়ারে একজন CBV হিসেবে উন্নতির এই পথচলা সহজ নয়, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি অবশ্যই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। মনে রাখবেন, শেখার কোনো শেষ নেই। তাই, সবসময় নতুন কিছু জানার এবং শেখার চেষ্টা চালিয়ে যান। শুভ কামনা!
শেষের কথা
আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে একজন CBV হিসেবে আপনার কর্মজীবনে উন্নতি করার জন্য কিছু মূল্যবান ধারণা দিতে পেরেছে। নিয়মিত অনুশীলন এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। আপনার যাত্রা শুভ হোক!
দরকারী কিছু তথ্য
1. বিজনেস ভ্যালুয়েশন সম্পর্কিত নতুন বই এবং জার্নাল পড়ুন।
2. বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম এবং গ্রুপে যোগদান করে অন্যদের সাথে আলোচনা করুন।
3. আপনার মেন্টরের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিন।
4. সফটওয়্যার এবং টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কাজকে আরও সহজ করুন।
5. নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকুন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ
একজন CBV হিসেবে উন্নতি করতে হলে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং, বিশেষ দক্ষতা অর্জন এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। নিজের কাজের মূল্যায়ন করুন এবং উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। সবসময় নতুন কিছু শিখতে থাকুন এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিশ্রম করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: একজন চার্টার্ড বিজনেস ভ্যালুয়েটর (CBV) হিসাবে আমার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোন দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত?
উ: দেখুন, CBV হিসাবে দক্ষতা বাড়াতে হলে কয়েকটি দিকে নজর রাখা দরকার। প্রথমত, আপনার ভ্যালুয়েশন টেকনিক্যাল স্কিলগুলোকে ঝালিয়ে নিতে হবে। এর জন্য নতুন নতুন ভ্যালুয়েশন মডেল এবং থিওরি সম্পর্কে জানতে হবে। আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি স্পেসিফিক ভ্যালুয়েশন টেকনিক শিখেছিলাম, যা আমার কাজে অনেক সাহায্য করেছে। দ্বিতীয়ত, ফিনান্সিয়াল মডেলিং-এর উপর জোর দিন। কারণ, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং ফোরকাস্টিংয়ের জন্য এটা খুব দরকারি। আমি এক্সেল এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে কমপ্লেক্স মডেল তৈরি করতে শিখেছি। তৃতীয়ত, কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোটা খুব জরুরি। ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার ভ্যালুয়েশনের ফলাফল সহজভাবে বুঝিয়ে বলতে পারাটা একটা বড় গুণ। আমি বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিয়েছি এবং প্রেজেন্টেশন দেওয়ার প্র্যাকটিস করেছি।
প্র: আমি কিভাবে আমার CBV ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নতি করতে পারি?
উ: দ্রুত উন্নতির জন্য নেটওয়ার্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ইভেন্টে যোগ দিন, অন্যান্য প্রফেশনালদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আমি যখন প্রথম দিকে একটি কনফারেন্সে গিয়েছিলাম, সেখানে অনেক অভিজ্ঞ CBV-এর সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম, যা আমার ক্যারিয়ারের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল। এছাড়াও, চেষ্টা করুন বিভিন্ন ভ্যালুয়েশন প্রজেক্টে কাজ করার। যত বেশি প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা হবে, তত দ্রুত শিখতে পারবেন। আমি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে পার্ট-টাইম কাজ করে অনেক নতুন জিনিস শিখেছি। পাশাপাশি, কিছু স্পেশালাইজড কোর্স করতে পারেন, যেমন – মার্জার এবং অ্যাকুইজিশন (M&A) অথবা ডিসট্রেসড অ্যাসেট ভ্যালুয়েশন।
প্র: এখনকার দিনে CBV ফিল্ডে নতুন কী কী আসছে এবং নিজেকে কিভাবে আপ-টু-ডেট রাখতে পারি?
উ: এখনকার দিনে টেকনোলজি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই CBV ফিল্ডেও অনেক নতুন জিনিস আসছে। যেমন – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) এখন ভ্যালুয়েশন প্রসেসে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি নিজে AI টুলস ব্যবহার করে ডেটা অ্যানালাইসিস করি, যা আমার সময় বাঁচায় এবং আরও সঠিক ফলাফল দেয়। এছাড়া, ESG (Environmental, Social, and Governance) ফ্যাক্টরগুলো ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখার জন্য নিয়মিত জার্নাল এবং ইন্ডাস্ট্রি পাবলিকেশন পড়ুন। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং সেমিনারে অংশ নিন। আমি প্রতি মাসে অন্তত একটি আর্টিকেল পড়ি এবং বছরে দু’টি অনলাইন কোর্স করি।
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과